পূর্বাচল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ম*র*দে*হ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি |

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আবদুল্যাহ আল মামুনের (৩৫) নামে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্দান ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্বাচল এলাকায় ২০ নম্বর সেক্টরের প্রধান সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

আবদুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি ফেনী জেলার শশ্যদী এলাকায়। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় শশুরবাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। তার স্ত্রী মোরশেদা শারমিনও স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

মামুনের স্ত্রীর বড় ভাই মনির হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে তিনি কর্মস্থলে যান। পরে নিজের চিকিৎসার প্রয়োজনে সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন। ওই সময় স্ত্রী মোরশেদা শারমিনের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। এরপর থেকে মামুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ও তিনি বাসায় ফিরে না আসায় রাতে তার স্ত্রী দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

তিনি জানান, আজ (বুধবার) সকালে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ২০ নম্বর সেক্টরের কালনি এলাকা থেকে মামুনের মরদেহ উদ্ধার হলে স্বজনরা গিয়ে শনাক্ত করেন। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পরিবারের দাবি, শিক্ষক মামুনের কারোর সাথে কোনো শত্রুতা ছিল না। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান স্বজনরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়ির সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. আবির হোসেন  আল মামুনের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে আল মামুন খুব অসুস্থ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার এইচআইভি পজিটিভ। মঙ্গলবার রূপগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন। পরে বাসায় না ফেরায় তার পরিবার দক্ষিণখান থানায় জিডি করেন। আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় পূর্বাচলে সড়কের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকার পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তার মৃত্যু রহস্যজনক। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রেইনস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে। তাই ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025019645690918