পেন্সিলে লেখা যাবে না স্কুল ভর্তি পরীক্ষায়

রুম্মান তূর্য |
সরকারি হাইস্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় পেন্সিল দিয়ে লেখা যাবে না। পেন্সিলে লেখা ভর্তি পরীক্ষার খাতা বাতিল বলে গণ্য হবে। ঘষামাজা করে খাতায় নতুন করে লেখাসহ বিভিন্ন ধরণের জালিয়াতিরোধে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভর্তি কমিটি। এর আগে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা বল পয়েন্টের বদলে পেন্সিল দিয়ে লেখার সুযোগ পেতেন। অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আগে থেকে বল পয়েন্ট দিয়ে লেখার নিয়ম ছিলো।  প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে কোনও পরীক্ষা হয়না। লটারির মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। 
 
খাদিজা বেগম নামের একজন অভিভাবক শুক্রবার সকালে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন,  আমার মেয়ে ২য় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য আগে থেকে পেন্সিলে লেখার প্রস্তুতি নিয়েছে কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো মোবাইল এসএমএসে বল পয়েন্ট নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে বলা হয়েছে।  হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিপাকে পড়েছে তার মেয়ের মতো হাজার হাজার শিশু। 

ঢাকা মহানগরের ৪১টি সরকারি হাইস্কুলে ৮৫ হাজার ৭৮৫ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। এসব স্কুলে মোট আসন আছে ১২ হাজার ৩৬৬টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের জন্য গড়ে ৭ শিশু লড়বে। অপরদিকে ঢাকার ৪১টি হাইস্কুলের মধ্যে ১৭টিতে প্রথম শ্রেণিতে শিশু ভর্তি করা হবে। ওইসব প্রতিষ্ঠানে মোট ১ হাজার ৯৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ২২ হাজার ১৭৯ জন। প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ১২ ক্ষুদে শিক্ষার্থী লড়বে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকার সরকারি হাইস্কুলগুলোতে ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি করা হবে ২০ ডিসেম্বর। 

 
ভর্তির আবেদন ফি ১৭০ টাকা টেলিটকের মাধ্যমে নেয়া হয়। অনলাইনে আবেদন শেষে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ টাকা জমা দেয়া যাবে। এবারও স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৫৯ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাব আছে। এর মধ্যে আছে ‘এলাকা’, ‘সরকারি প্রাইমারি স্কুল’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ‘প্রতিবন্ধী’ ও ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী’ কোটা। আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হবে টেলিটকের মাধ্যমে। www.dshe.gov.bd এবং www.teletalk.com সাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। 
 
ঢাকার ৩৮টি সরকারি হাইস্কুলে ১২ হাজার ৩৬৬টি আসন আছে। এর মধ্যে ১৭ হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ১ হাজার ৯৬০টি আসন রয়েছে। এছাড়া ২য় শ্রেণিতে ৮৪৯টি, ৩য় শ্রেণিতে ২ হাজার ১২৬টি, ৪র্থ শ্রেণিতে ৮২২টি, ৫ম শ্রেণিতে ৮৪৯টি, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৩ হাজার ৫৫৭টি, ৭ম শ্রেণিতে ৭৩৮টি, ৮ম শ্রেণিতে ৯৯৭টি এবং ৯ম শ্রেণিতে ৪৬৮টি আসন রয়েছে। এ বছরও রাজধানীর সরকারি হাইস্কুলগুলো তিন গ্রুপে ভাগ করে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ৪১টি হাইস্কুলের মধ্যে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে ১৪টি করে এবং ‘গ’ গ্রুপে ১৩টি হাইস্কুল আছে। এবার রাজধানীর মোট ১৭টি হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাকি স্কুলগুলোর কোনোটি দ্বিতীয় আবার কোনোটি তৃতীয় বা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া তিনটি স্কুলের ফিডার শাখা রয়েছে। এই তিনটিসহ মোট স্কুল ৪১।

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002957820892334