প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের স্থগিত (২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। করোনার মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানান তারা।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা বলেন, ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে মুজিববর্ষে বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত করতে প্যানেলে নিয়োগ দিতে হবে। করোনার মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে না দিয়ে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিবের কাছে আহ্বান জানান।

প্রার্থীরা আরও বলেন ‘প্যানেল চাই, নয় চার বছর ফেরত চাই। ২০১০-২০১১ খ্রিষ্টাব্দের বিজ্ঞপ্তিতে প্যানেল করার বিষয় উল্লেখ ছিল না, কিন্তু ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের প্যানেলের মামলা জটিলতায় আমাদের চার বছর সময় নষ্ট হয়েছে।

তারা বলেন. ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল শূন্য পদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। অথচ ২০ হাজার শূন্য পদ থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জন। আবার বিতর্কিত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের (২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের স্থলে নিয়োগ দেয়া হয় ১৮ হাজারের বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়।

প্রার্থীরা বলেন, ২০১৪ স্থগিত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত ১৯ হাজার ৭৮৮ জন প্রার্থী প্যানেলের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগে দুটি পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ৪ বছরের জন্য স্থগিত ছিল। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের স্থগিত (২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। ওই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ এদের মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয় মাত্র ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

প্যানেল প্রত্যাশীরা বলেন, পরীক্ষাটি ৪ বছর স্থগিত থাকার কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হন তারা। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্যানেল প্রত্যাশীদের সংখ্যা বর্তমানে খুব বেশি নয়। যারা ইতোমধ্যে অনেকেই অন্যান্য চাকরিতে কর্মরত আছে। বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ হাজার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এত শূন্য পদ থাকার পরও কেনো ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে না? তাছাড়া অনেকেই অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণে এই সংখ্যাও কমে গেছে।

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের স্থগিত (২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক সালেহা আক্তার, সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন রিয়াদ, মহুয়া আক্তার, পপি ইয়াসমিন, মহসিন আলম, রাসেল আনসারীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028600692749023