প্রক্রিয়াধীন গ্রন্থাগার শিক্ষক-প্রভাষক নিয়োগ আগের নিয়মে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নতুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন থাকা গ্রন্থাগার শিক্ষক ও প্রভাষকদের নিয়োগ আগের পদ্ধতিতেই হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবলা কাঠামোতে গ্রন্থাগারিকদের পদের শিক্ষক মর্যাদা দিয়ে নতুন নাম ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যটালগারদের পদের নতুন নাম 'সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)' করা হয়েছে। এরপর নতুন প্রশ্ন আসে এ পদগুলোতে নিয়োগ কিভাবে হবে? শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নীতিমালা জারির আগে ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ ও ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)' যেসব পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা আগের নিয়মেই অর্থাৎ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে। শিগগিরই এ বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করবে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

তবে, ২৮ মার্চ নীতিমালা জারির পরে যে পদগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শুধু সেই পদগুলোতে নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দেবে। মানে শুধু সেই পদগুলোতে আগের নিয়মে নিয়োগ হবে।  

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ২৮ মার্চ এমপিও নীতিমালা জারির আগে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক যেসব পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল সে পদগুলোতে আগের নিয়মেই অর্থাৎ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে। বিষয়টি জানিয়ে শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে, যোগ করেন অতিরিক্ত সচিব। 

তিনি আরও বলেন, তবে যে পদগুলো এখন শূন্য কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি সেসব পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দেবে। আমরা এনটিআরসিএ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে আলোচনা পর্যালোচনা করে এ পদগুলোতে নিয়োগের নির্দেশনা দেবো। 

তিনি বলেন, এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এ পদগুলোতে এখনই নিয়োগ দিতে হবে তেমন কোন কথা নেই।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

অতিরিক্ত সচিব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, গ্রন্থাগারিক এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক ও ক্যটালগাররা শিক্ষক মর্যাদার দাবি জানিয়েছিলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা শিক্ষক মর্যাদা পান কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের কর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। নতুন নীতিমালায় সে সমস্যা দূর করা হয়েছে। তাদের শিক্ষক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এ পদগুলোতে নিয়োগ কি পদ্ধতিতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি এনটিআরসিএর মাধ্যমে এ পদে নিয়োগ দিতে হয়, সেক্ষেত্রে তাদের নিয়োগ পদ্ধতি পরীক্ষা পদ্ধতি এবং সক্ষমতা ইত্যাদি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি আর বলেন, এমপিও নীতিমালাতেও বলা হয়েছে, কোন ধারার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা লাগলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জারি করতে পারবে আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে দেব।

২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ চালুর প্রজ্ঞাপন জারির দিন পযন্ত প্রক্রিয়ধীন থাকা নিয়োগ আগের পদ্ধতিতেই করা হয়েছিল। একইভাবে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন জারির দিন পযন্ত প্রক্রিয়াধীন থাকা নিয়োগগুলো ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার জন্য আলাদা আদেশ জারি করেছিলো মন্ত্রণালয়। একইভাবে এবারেও আদেশ জারি হবে। এতে কোনো তদবিরবাজের বা বিরোধীতাকারীদের কোনো ভূমিকা নেই বা থাকবে না।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের কর্মচারী অর্থাৎ নন-টিচিং স্টাফ থেকে বাদ দেয় সরকার। কিন্তু তাদের অবস্থান কোন ক্যাটাগরিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে প্রতিদিনই তাঁরা নানাভাবে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছিলেন।  তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাওয়ার পরেও স্কুলে নানাভাবে অবহেলিত ছিলেন। সহকারী গ্রন্থাগারিকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় লাইব্রেরি ক্লাস নেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক শ্রেণিকক্ষেও পাঠদান করান।

এদিকে শিক্ষক মর্যাদা পওয়ায় সন্তুষ্ট সারাদেশে কর্মরত গ্রন্থাগারিক এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক ও ক্যটালগাররা। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষাসচিব মো: মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। আরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দৈনিক শিক্ষার প্রতি।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জাল সনদেই সরকারকে হাইকোর্ট, নয় শিক্ষক অবশেষে ধরা - dainik shiksha জাল সনদেই সরকারকে হাইকোর্ট, নয় শিক্ষক অবশেষে ধরা মা*রা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি - dainik shiksha মা*রা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন মোখবার - dainik shiksha ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন মোখবার এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ৩ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ৩ হাজার শিক্ষক কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044100284576416