নড়াইলের ধোপাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। অভিভাবকরা সংশ্লিষ্টদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারপরও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
জানা যায়, ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ শতক জমির ওপরে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে এ ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মাণের ২৩ বছরের মাথায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের ভবনটি। এ বিদ্যালয়ে ভবনের সংখ্যা ১টি, শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা ৩টি, যা ব্যবহারের অনুপোযোগী।
ছাদ, বিম, ওয়ালগুলোর ফাটল, পলেস্তারা খসে পড়ায় স্কুলের শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে মাঠে ক্লাস নিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৩৯ জন। শিক্ষক সংখ্যা ৫ জন। বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক।
বর্ষা আর গ্রীষ্মকালে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে না। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, তারা খুব আতঙ্কে বিদ্যালয়ে পাঠদান করছে। প্রচণ্ড তাপদাহে রোদে পুড়ে ক্লাস করায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া খোলা আকাশের নিচে তারা লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না। তাই তারা দ্রুত ভবন মেরামতের দাবি জানায়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন আক্তার জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় প্রচণ্ড তাপদাহে পাঠদান করতে হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন জানান, ‘আসলে বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। এর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ আসলে ভবনটির কাজ শুরু হবে।’