প্রাথমিকভাবে প্রতিটি জেলায় একটি করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করে অন্যান্য আবেদনকৃত বিদ্যালয়গুলো তদন্ত-পূর্বক গ্রেডিং করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৪তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, নাসরিন জাহান রত্না, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আ কা ম সরওয়ার জাহান এবং কাজী কানিজ সুলতানা অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
শুরুতে ২৩তম বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন ও দৃঢ়ীকরণ নিশ্চিত করা হয় এবং ২৩তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
কমিটিতে প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ এর আলোকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সঠিক অনুসন্ধান (ইনকোয়ারি) করার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়।
ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের (আরএসএস) এদেশে প্রথম অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে যুগান্তকারী ভূমিকা সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে আরএসএস ও আরএমসির কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার জোর তাগিদ দেয়া হয়। বিবিধ সিদ্ধান্ত হিসেবে সমাজকল্যাণ বিষয়ক আইন-২০১৯ ও এর অর্গানোগ্রামের ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়।
বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।