তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধাসহ একটি করে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়াও তিনি স্মার্ট ক্যাম্পাসকে ১ কোটি টাকা ইনোভেশন ফান্ড দেয়ার ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে “স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণ" তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা এবং ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে নানক আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ উল্লেখ করে বলেন, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজের জন্য ডিজিটাল সংযোগই মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্মার্ট মডেল ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রিন, ক্লিন ও সেফ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট ও প্রেজেন্টেশন সাবমিট করবে। যাচাই বাচাই করে প্রথম স্থান অধিকারকারী প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি টাকা এবং বাছাইকৃত আরো ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লক্ষ টাকা করে আইসিটি বিভাগ থেকে ইনোভেশন গ্র্যান্ড প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগ “হার ক্রিয়েশন” নামে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আইসিটি বিভাগ এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবে। আইসিটি বিভাগ থেকে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নারী নেত্রী ও শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্ত্বর থেকে স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হবে স্মার্ট নাগরিকের রোল মডেল। যাতে করে শিক্ষার্থীকে দেখেই মানুষ বুঝতে পারে এরকমই হবে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের স্মার্ট নাগরিক। সেই দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, সাহসী, দেশপ্রেমিক ও নেতৃত্ব দানের উপযোগী করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: তানভীর হাসান সৈকত।