প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৪টি সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে
এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, রিটকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। যেখানে কোন প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হতে পারেননি।
একারণে দেশের বিভিন্ন জেলার ১১৪ জন প্রতিবন্ধী প্রার্থী গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি শেষে আদালত ১১৪টি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।