দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও ই-কনটেন্টের অ্যাকসেস পাচ্ছে। অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সমতা নিশ্চিত হয়েছে। উন্নত দেশেও যেমন সহজেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সকল তথ্য হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়। তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থী একই তথ্য সহজেই পেতে পারে।
রাজধানীর ডক্টর মালেকা কলেজে নবীনবরণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।
মশিউর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ বেয়ে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে। সমতার পৃথিবী এবং সমতার বাংলাদেশ আমরা এখনও গড়তে পারিনি। তবে পৃথিবীর উন্নত দেশের নাগরিকরা যেমন তথ্য সুবিধা পায়, তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের শিক্ষার্থীরাও অবাধ তথ্য প্রবাহে সমান সুযোগ পাচ্ছেন। এর পেছনে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। এটি সমতার বাংলাদেশ তৈরির একটি বড় পদক্ষেপ।
উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, যে ডিসেম্বরের গৌরব আমরা করি, সেদিন আমাদের গেরিলা যোদ্ধাদের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। বীর বাঙালি বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে জাতির পিতার নেতৃত্বে। আমরা একটি আদর্শনিষ্ঠ মানবিক বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম বলেই এই বিপ্লব। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। মাত্র ৯ মাসে নিরস্ত্র বাঙালি নিজেদের প্রস্তুত করে গেরিলা যোদ্ধা হয়ে সেই সময়ের পরাশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রিয় দেশকে ভালোবেসে স্বাধীন করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান কলেজের কৃতী শিক্ষার্থী এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
ডক্টর মালিকা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন মিঞা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নবাগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।