প্রত্যাশা স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা, যেখানে থাকবে না বৈষম্য

প্রশান্ত কুমার কর্মকার |

জনগণের প্রত্যাশা পূরণের একটা সুন্দর বাংলা বিনির্মাণ করবে এই সরকার। যেখানে থাকবে না জাতি ধর্মের বৈষম্য। থাকবে সুদূরপ্রসারী শিক্ষাব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠিত হবে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা। সংবিধানের আলোকে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দল মতের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করবে। 

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিলো, তার অবসান হয় আপিল বিভাগ মতামত দেয়ার পর। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায় কি না, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে পাঠান রাষ্ট্রপতি। গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন এবং রুলিং দেন। এরপরই জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এই রূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্ব সম্পন্ন যে, সেই সর্ম্পকে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সর্ম্পকে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।’ 

আন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে গণমানুষের প্রত্যাশা, বিচার বিভাগের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। গণ মানুষের প্রত্যাশা-আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিগত সরকারগুলোর বা আমলের মতো আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে না। 

ছাত্র-জনতার দাবির মুখে প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। আবার ছাত্র জনতার দাবির মুখে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। ৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি বির্তকিত বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় চলে যেতে বলেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে দেশ ও জাতি এমন কিছু প্রত্যাশা করেন না যা বির্তকের জম্ম দেয়।   

স্বাধীনতা পরবর্তী বিগত সরকারের আমলগুলোতেও সংখ্যালঘু নির্যাতন, অত্যাচার হয়েছে। হিন্দুরা দলে দলে দেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বলা হয়েছে, বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অনগ্রসর গোষ্ঠী বিচারের দাবিতে, সুরক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আশা, সংশ্লিষ্টরা এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসবেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করবেন।   

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি বলেছেন, আগে অনেক ভুল হয়েছে। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেনো না হয়, সেটি এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা। আশা করি, সরকার ভালো কাজ করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে ছবি ও সখ্য প্রকাশের হিড়িক পড়ে যায়। এরপরই পত্রিকাসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনসহ বা অন্য কোনো প্রচারণায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত।  

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ৯ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সমস্যার সমাধান যতো দ্রুত করা যায়, সেই আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা উন্নতির ক্ষেত্রে সবাই যেনো পুলিশকে সাহায্য করেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, আদিবাসী বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে আপাতত একটি রক্ষা বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করার কথাও বলেছেন। বির্তকিত আইন ও স্বাধীন মতপ্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এক সংবাদ সম্মেলন করে কোনো বিচারপতির নাম উল্লেখ না করে বিতর্কিত বিচারপতিদের সেচ্ছায় চলে যেতে বলেন, তা না হলে নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ার করা হয়। ৮ আগস্ট সংবাদ সমম্মেলন করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। আইনজীবীদের একটি অংশ নিম্ন আদালতের বিচারক নামের তালিকা করার আওয়াজ তোলেন। এতে করে বিচারকদের মধ্যে এক প্রকার অস্থিরতা বিরাজ শুরু হয়। ৯ আগস্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবের সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের যে ৫০ জন বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে, তার সঙ্গে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোনো সর্ম্পক নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে সবাইকে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। 

১৯৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসনামলে সংবিধান কাটাছেঁড়া হয়েছে। এরশাদ আমলে সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে তাকে বৈধতা দেয়া হয়েছিলো। ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতনের পর বিএনপি ক্ষতায় আসে। বিএনপি-জাময়াত জোট সরকার আমলে আবার সংবিধান কাটাছেঁড়া হয়। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে সরিয়ে সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচিত হয়। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন। বেগম খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার আমলে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি জিয়াউর রহমানের আমলে করা পঞ্চম সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে বাদ রেখেই সংবিধান সংশোধনের জন্য ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুলাই তৎকালীন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারপারসন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে বিশেষ কমিটি করা হয়। ওই কমিটি নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে। বিএনপি তখন সাড়া দেয়নি। বৈঠকে অংশ নেয়া  দলগুলোর অধিকাংশ সংস্কারসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখার পক্ষে মতামত দেয়। 

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুন কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ চূড়ান্ত করে তা ৮ জুন স্পিকারের কাছে পাঠায়। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ পঞ্চদশ সংশোধনী বিল তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদে উত্থাপন করেন এবং ৩০ জুন তা পাশ হয়। সেইদিন  বিএনপি-জামায়াতের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির মধ্যে তিনজন এবং ১০ অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে আটজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিপক্ষে মতামত দেন। কিন্তু রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ত্রয়োদশ সংশোধনীতে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো। সেদিস পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এবং সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রাখা হয়। কোটা সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠন করতে না পারায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। সেই সংকট দূর করতেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে রেফারেন্স চাওয়া হয়। 

সংবিধানে  কি আছে- 

সংবিধানের ৫৮ (৪) অনুচ্ছেদের বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকিলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে: তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলী সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারগণ কার্যভার না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন।’   

৫৮ এর খ অনুচ্ছেদের (১) এ বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাংগিয়া দেওয়ার পর বা মেয়াদ অবসায়নের কারণে ভঙ্গ হইবার পর যে তারিখে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কার্যভার গ্রহণ করেন সেই তারিখ হইতে সংসদ গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী তাহার পদের কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে একটি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার থাকিবে।’    

সংবিধানের ৫৮(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসাবে ইহার দায়িত্ব পালন করিবেন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের সাহায্য সহায়তায় উক্তরূপ সরকারের দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন, এবং এইরূপ কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজন ব্যতিত কোনো নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত গ্রহন করিবেন না।’   

এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র এবং দেশ ত্যাগের ফলে দেশে কার্যত সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। তারপর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। 

কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের অনেক কিছু ফিরিয়ে আনা হলেও সামরিক শাসনামলের কিছু বিধান রেখে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্মের অবস্থান রাখা হয়েছে। নতুন এই যুগে ছাত্র-জনতার  প্রত্যাশা-সংবিধানের যেকোনো পরিবর্তন দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হওয়া উচিত। যেহেতু সংবিধান সংশোধনের সেই সুযোগ রয়েছে।

লেখক: আইনজীবী ও সাংবাদিক 
[email protected]


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029811859130859