প্রধান শিক্ষককে মারপিটের দায়ে ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু সুফিয়ান মাসুদকে অপসারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড (মাউসি)। বোর্ডের পরিদর্শক প্রীতিষ সরকারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে অপসারণ করার কথা জানানো হয়। এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনার স্বার্থে নতুন সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। তথ্যসূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে অফিস কক্ষে সভাপতি আবু সুফিয়ান মাসুদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকেই শিক্ষকদের বেতন বিলে স্বাক্ষর বন্ধ করে দেন সভাপতি মাসুদ।
পরে প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে সভাপতিকে চিঠি দেয় শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের চিঠি পেয়েও বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। সভাপতি মাসুদ কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিলেও বোর্ডের কাছে তা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ১৬ আগস্ট বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রীতিষ সরকারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে মাসুদকে সভাপতি পদ থেকে বাতিল এবং নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে বলা হয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, তদন্তে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা বোর্ডে বিদ্যালয়ের স্বার্থে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তাতে আমি ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। সভাপতি আবু সুফিয়ান মাসুদ বলেন, ডাকযোগে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমি হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পেলে পরবর্তীতে আইনগত কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা ভেবে দেখব।