প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন নিয়েই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি : গণশিক্ষা সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীতের জন্য সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি সনদ দেবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আকরাম আল হোসেন। আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।” 

প্রাথমিক সমাপনীর ক্ষেত্রে মূল্যায়ন কী হবে- প্রশ্নে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা কিন্তু হয়নি বা হবে না।
 সমাপনী পরীক্ষা না হলে সনদে গ্রেডিংয়ের কী হবে- জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, পরীক্ষা না হলে গ্রেডিং কোনো বিষয় না। একটা এ্যাসেসমেন্ট করে তাকে পরবর্তী ক্লাসে অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য তার স্কুল হেড মাস্টার তাকে একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দিলো।

একাধিক সাংবাদিক অটোপাসের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করলেও গণশিক্ষা সচিব পাত্তা দেননি। 

এ বছর আর স্কুল খোলা সম্ভব না হলে অটো পাস দেওয়া হতে পারে- এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা যদি স্কুল না খুলি তাহলেও তো আমাদের বাচ্চাদের পরবর্তী ধাপে (ক্লাসে) দিতে হবে। আমি সবসময় বলি, এক ক্লাস না পড়ে আরেক ক্লাসে উঠেছি। ১৯৭১ এ  আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি, ৭ মার্র্চের পর যখন স্কুল বন্ধ হয়ে গেল তারপরে ১৯৭২ এ জানুয়ারিতে সিক্স থেকে সেভেনে তুলে দেওয়া হলো। আমার তো কম্পিটেন্সিতে কোনো সমস্যা হয়নি।

আগামী ১৯ ডিসেম্বরের পর স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে- এ বিষয়ে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সেটা বলেছি অন্যভাবে। বলেছি যে, এখনও আমাদের সংশোধিত ও অনুমোদিত দু’টি লেসন প্ল্যান আছে।

‘কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং সরকার যদি মনে করে যে বাচ্চারা এখন নিরাপদ, তারা স্কুলে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। সেই অবস্থা হলে আমরা স্কুল খোলার যদি সুযোগ পাই তাহলে আমাদের অনুমোদিত দু’টি লেসন প্ল্যান আছে, অক্টোবর ও নভেম্বর। সেটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের লিমিট শেষ করার তারিখ ২০ ডিসেম্বর। একটা ৫২ দিন আরেকটা ৪০ দিন। যদি অক্টোবরে খুলতে পারি

তাহলে এক রকম হবে, অক্টোবরে খুলতে না পারি যদি নভেম্বরে খুলতে পারি তাহলে ৪০ দিন পাবো। ’


সচিব বলেন, ইতোমধ্যে মার্চের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পাঠ পরিকল্পনার আমরা ৩৫ শতাংশ শেষ করেছি। সারাদেশে এখন একই পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। ঢাকা শহরে একটা স্কুলে যে পৃষ্ঠা পড়ানো হয়, সেটা পঞ্চগড় বা মাগুরা বা দিনাজপুর বা কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে একই পাঠ দেওয়া হয়।

 

‘যদি স্কুল খোলা সম্ভব হয়ে আসে, আমাদের সংশোধিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে হয়তো ২০ ডিসেম্বরের পরে শিক্ষকরা স্ব স্ব স্কুলে বাচ্চাদের মূল্যায়ন করতে পারবে, পরীক্ষার কথা বলিনি। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেবে। আর যদি স্কুল খুলতে না পারি তাহলে... (অটোপাস)’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023329257965088