প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি |

ভোলা চরফ্যাসনের ৫নং দক্ষিণ জিন্নাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্লিপ, রুটিন মেইনটেন্যান্স এবং প্রাক-প্রাথমিক খাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত এক লাখ ২০ হাজার টাকা কোনো কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন বলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী।

অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই চলতি অর্থবছরে ৫নং দক্ষিণ জিন্নাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্লিপ বরাদ্দের ৭০ হাজার টাকা, রুটিন মেইনটেন্যান্স ৪০ হাজার টাকা ও প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পের ১০ হাজার টাকাসহ মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব টাকা বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সংশ্নিষ্টতার বিধান রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক গোপনে ওই টাকা উত্তোলন করে কোনো কাজ ছাড়াই আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি মো. আলাউদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের পর ওই শিক্ষক রেজুলেশন ও নোটিশ খাতায় কিছু না লিখে স্কুলের পিয়ন দুলালকে দিয়ে স্বাক্ষর করাতে পাঠান ওই সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ওই খাতা আটকিয়ে পিয়নসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই দুটি খাতা জব্দ করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই জানান, সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয় সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, ওই শিক্ষক রেজুলেশন ও নোটিশ খাতায় কিছু না লিখে স্কুলের পিয়নকে দিয়ে স্বাক্ষর করাতে ম্যানেজিং কমিটির কাছে পাঠালে সদস্যরা ওই খাতা আটকে পিয়নসহ নিয়ে আসেন। পরে ওই খাতা জব্দ করা হয়। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057249069213867