দৈনিক শিক্ষাডটকম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার খেরুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মসিহুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে আরো আছে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে খেয়াল-খুশি মতো চলার অভিযোগও।
বিদ্যালয়টির সভাপতি মো. মোনসুর আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ে ৩ লাখ টাকার মূল্যমানের ৪ কক্ষবিশিষ্ট একটি পুরাতন টিনশেড ঘর ছিলো। যা আমাকে অবহিত না করে এবং কোনো ধরনের রেজুলেশন ছাড়াই ভেঙে ফেলেন। বিভিন্ন কাজের ১ লাখ ২০ টাকা যথাযথভাবে খরচ না করে আত্মসাৎ করেন এবং খরচের নকল বিল ভাউচার তৈরি করেন। মাসে তিন-চার দিনের বেশি বিদ্যালয়ে আসেন না প্রধান শিক্ষক। ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ৪ দিন উপস্থিত ছিলেন।
নয়ারহাটের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমান আলী বলেন, আমিও এলজিএসপি’র মাধ্যমে ১৬ জোড়া জয়েন্ট বেঞ্চ দিয়েছিলাম। সেগুলোও প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এর আগে আমার সন্তানের উপবৃত্তির টাকা প্রধান শিক্ষকের এক পছন্দের ব্যক্তির বিকাশ নম্বরে যেতো। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আমাকে কয়েক মাসের টাকা ফেরত দেন।
ওমর আলী নামক এক অভিভাবক বলেন, স্কুলের সোলার, পানির ট্যাংক, পাম্প, টিউবওয়েল, সোলারের ফ্যান পর্যন্ত বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয় জানতে প্রধান শিক্ষক মসিহুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. আবু সালেহ সরকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে। অভিযোগে এসব বিষয়ে উল্লেখ না থাকলেও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে অভিভাবক ও এলাকাবাসী গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরে তার বিরুদ্ধে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন এক অভিভাবক।