ভোলার লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় ৩ মাস বেতন বন্ধ হেলিপ্যাড নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষক-কর্মচারীর। আইনের তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম চৌধুরী বেতন-ভাতা বিলে স্বাক্ষর বন্ধ রাখেন। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী।
জানা যায়, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. জাকারিয়াকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে হালিম চৌধুরী এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি দিয়ে জখম করে। এ সময় জাকারিয়ার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় লালমোহন থানায় হালিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন জাকারিয়া । থানায় ডায়েরি করার কারণে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বিলে স্বাক্ষর বন্ধ করে দেন।
পরদিন ১০ই ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০টি অনিময়ের অভিযোগ এনে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমির বরাবর দাখিল করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিম চৌধুরীকে তার কার্যালয়ে ডাকলে হালিম চৌধুরী উপস্থিত হননি। নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপার ভাইজার মদন মোহন মণ্ডলকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
সরজমিন তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায় মর্মে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ২৯শে ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন একাডেমিক সুপার ভাইজার।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। তবে নতুন কমিটি হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দেয়া অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এখন এ ঘটনার সমাধান দিবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।