ঢাকা সেন্ট্রাল গালস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাছরিন সুলতানাকে অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চাপ দিয়ে পদত্যাগ করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে থানায় সাধারণ ডয়েরি করেছেন নাছরিন সুলতানা।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ছুটি নিয়ে গত ১৯ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত আমার চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলাম। ২৯ আগস্ট স্কুলে না গিয়ে ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক নূর জাহানকে ফোনে জানিয়ে স্কুলের বেতনের কাজে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় গিয়েছিলাম।
এদিকে নাছরিন সুলতানা ছুটি নিয়ে ভারতে চিকিৎসা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার ছুটি নেন। কিন্তু তাকে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত দেখিয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এইচ কে কামাল উদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। যা অনিয়ম বলে দাবি করছেন নাছরিন সুলতানা।
অপরদিকে নাছরিন সুলতানা জানান, ২৯ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে থাকার সময় স্কুলের অফিস সহকারী গোলাম ছরোয়ার আমাকে মোবাইল ফোনে বলেন, শিক্ষিকা নূরজাহান নিপা, কানিজ আফসানা, কামাল উদ্দিন, তানভির ও কিছু অভিভাবকসহ অফিস সহকারীর কক্ষে ঢুকে রুবিনা ও জান্নাতকে রুম থেকে জোর করে বের করে দেয়। তারা অফিস কক্ষে তালা দিতে গেলে গোলাম ছরোয়ার বাধা দেন। তবে বাধা উপেক্ষা করে নূরজাহান নিপারা অফিস কক্ষ তালা দিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষিকা নাছরিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পান, তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর পোস্ট করা হয়েছে।
পরে ৩০ আগস্ট তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে স্কুল থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখান অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। একইসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকার স্বামীকেও হুমকি-ধামকি দেন ওই ব্যক্তি।
এমন পরিস্থিতিতে ওই প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তার কারণে স্কুলে যেতে পারছেন না এই শিক্ষিকা। এক প্রকার বাধ্য হয়ে তিনি সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে নিরাপত্তা চেয়েছেন।