প্রবেশপত্র না দেয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি ৩২ শিক্ষার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি |

উপজেলায় ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩২ জেএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই ৩২ পরীক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার বাংলা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই দিনই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা শিক্ষা কমিটি। এ বছর ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৮১ শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দিতে গত জুন মাসে ফরম পূরণ করে।

রোববার এসব পরীক্ষার্থীর প্রবশেপত্র বিদ্যালয়ে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। তবে ৩৮১ জনের মধ্যে ৩৩৪ জনকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। কথিত মডেল টেস্ট পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়ার দোহাই দিয়ে ৪৭ পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দেননি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সরকার। গত বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা বাঞ্ছারামপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা চলাকালে ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার বিষয়টি ইউএনও মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে ইউএনও দ্রুত এলাকায় যোগাযোগ করে ১৫ জনকে এনে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে প্রবেশপত্র দেন। এতে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়। বাকি ৩২ পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র না দেওয়ার ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কমিটির প্রধান ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তৌহিদকে প্রধান করে বৃহস্পতিবারই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

পরীক্ষার্থী হেলাল মিয়া বলে, আমি পরীক্ষার আগের দিনও বিদ্যালয়ে হেড স্যারের কাছে গিয়ে প্রবেশপত্র পাইনি। স্যার বলেছেন, মডেল টেস্টে খারাপ করেছি বলে আমরা এ বছর পরীক্ষা দিতে পারব না। বাঞ্ছারামপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছি কয়েকজনের প্রবেশপত্র আসতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে তা বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু পরে জেনেছি ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৭ পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি।

তবে ইউএনওর হস্তক্ষেপে দ্রুত ১৫ জনকে এনে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও সদস্য নিয়ে মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, মডেল টেস্টে যারা অকৃতকার্য হবে তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তাদের ফরম পূরণ করানো হয়েছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কঠোর না হলে শিক্ষার মান বাড়ানো যাবে না। ৩২ জন পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে শুনেছি। তদন্তে যা হয় তা মেনে নেব আমি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তৌহিদ বলেন, হাজী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক খামখেয়ালি করেছেন।

ইউএনও মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর যে ১৫ জন পরীক্ষা দিতে এসেছিল তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। অন্যরা না আসায় তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর নবম পে-স্কেলসহ সরকারি কর্মচারীদের ১০ দাবি - dainik shiksha নবম পে-স্কেলসহ সরকারি কর্মচারীদের ১০ দাবি শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগের ভাইভা শুরু - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগের ভাইভা শুরু কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় ফের বৃদ্ধি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033779144287109