‘মাদরাসা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি লুকিয়ে চোরের মতো করা হয়েছে’প্রশাসনের পাকিস্তানি চরিত্রের পরিবর্তন ঘটেনি : শিক্ষা ক্যাডার সমিতি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় যে প্রশাসন কাজ করেছে সে প্রশাসন পাকিস্তানি প্রশাসন। বর্তমান প্রশাসনও তাই। এর চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।’ শুক্রবার (৮ সেপ্টেস্বর) রাজধানীর ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায়  এ মন্তব্য করেন তিনি। সরকারি কলেজ ও মাদরাসায় কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির এ নেতা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক পদে কর্মরত চার বছরের বেশি সময় ধরে।

 

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্যাডারের বৈষম্য দূর করবার জন্য বলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয় না। কে বাস্তবায়ন করে না? আমাদের প্রতিপক্ষ যারা তারাই বাস্তবায়ন করে না। আমাদের সার্ভিসটিসহ সব ক্যাডার ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ক্যাডার রুলস্ অনুযায়ী গঠিত হয়েছে। এ অনুযায়ী ক্যাডারগুলোর একটি কাঠামো বিন্যাস হয়ে যাওয়ার কথা স্বাভাবিকভাবে। প্রত্যেক ক্যাডার সার্ভিসের উপজেলা থেকে হেড অফিস পর্যন্ত একটি কাঠামো রয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে (শিক্ষা ক্যাডারে) এটি মিসিং। এ জায়গাটা হতে না দেয়ার পেছনে করো হাত রয়েছে।  

আরো পড়ুন : ‘শিক্ষা ক্যাডারের পদ দখল করছে একটি চক্র’

শাহেদুল খবির আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুশাসন প্রতিপালিত হয় না। কে করে না? যারা এটি বাস্তবায়ন করবে সেই প্রশাসন করে না। আমার নিয়োগের বিধি আছে, কিন্তু আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কিভাবে ন্যাশনালাইজেশনের  (জাতীয়করণ) মাধ্যমে ক্যাডারে অন্তুর্ভুক্ত হয়? সেটা করা হয়েছে সংকট তৈরির জন্য। আমরা দেখি প্রশাসন যন্ত্রের দুর্বলতা হচ্ছে অবৈধ জায়গার প্রতি। জাতীয়করণ তাদের দুঃখে তাদের হৃদয় খান খান হয়ে যায়। প্রকল্প থেকে অবৈধভাবে ক্যাডার বের করা, তাদের জন্য দুঃখে তাদের বুক ফেটে যায়। শিক্ষা ক্যাডারে যতো অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে সেগুলো প্রশাসনের মদদে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, তারা চান না শিক্ষা এগিয়ে যাক। শিক্ষা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগুবে। দেশ এগুলে জাতির পিতার জয় হবে। জাতির পিতার জয় প্রশাসন চায় না।  সামরিক-বেসামরিক উভয় শক্তি ও তাদের পূর্বসুরীরা একটি নেক্সাস তৈরি করে রেখেছেন। 

অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, আরেকটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করেছি, লুকিয়ে তারা কাজগুলো করেন। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের যে নিয়োগ বিধিটি করা হয়, তৎকালীন সচিব বলেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এটি হবে না। কিন্তু বছরের মাথায় লুকিয়ে চোরের মতো নিয়োগ বিধি জারি করেছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই - dainik shiksha একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ - dainik shiksha অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা - dainik shiksha সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে - dainik shiksha শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ - dainik shiksha এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে - dainik shiksha যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0208740234375