ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখা সেফুদাকে নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রভাষক মুহাম্মদ জাহিনুল হাসান। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ওই প্রশ্ন রাখায় জাহিনুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি।
কলেজের পরিচালনা পর্ষদের ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত ১০২তম সভার আলোচ্যসূচির ৫ নম্বরে এই বিষয়ে আলোচনা হয় বলে একটি নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মুহাম্মদ জাহিনুল হাসান ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে যোগ দেন।
গত জুলাই মাসে দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্নপত্র (সৃজনশীল) প্রণয়নের দায়িত্ব পান তিনি। জাহিনুল হাসান ওই প্রশ্নপত্রের ১নং প্রশ্নের উদ্দীপক অংশে সেফুদা প্রসঙ্গ অবতারণা করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেন। এই প্রশ্নপত্রে গত ৭ জুলাই দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই জাহিনুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি করে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
বোর্ড সভায় উপস্থাপিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহিনুল হাসান অপ্রাসঙ্গিকভাবে ‘সেফুদা’ কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। জাহিনুলকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর পত্র দিতে সভায় অধ্যক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তার জবাবের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদ-উল-হক, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব কুলসুম বেগম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ও সদস্য (অর্থ) মো. মিজানুর রহমান, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিবুল ইসলাম, কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. মাতলুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আফরোজা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক জাহীদুর রহমান এবং অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম।