‘প্রশ্নফাঁসে অধ্যক্ষ জড়িত থাকা নজিরবিহীন’

তেরেজা এ্যানি রোজারিও |

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে অধ্যক্ষ জড়িত থাকার ঘটনা নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান। অতীতে কালেভদ্রে দুএকজন সহকারি শিক্ষক অথবা প্রভাষক জড়িত থাকার অভিযোগ পেলেও অধ্যক্ষ জড়িত থাকার ঘটনা আমার জানামতে এবারই প্রথম।

১১ মার্চ দৈনিকশিক্ষাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭ মার্চ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রাজধানীর শেরে বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রায় ৩৮ বছর অধ্যক্ষ পদে আসীন থেকে সম্প্রতি অবসর যাওয়া মাজহারুল হান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বলতে পারি আমার এই দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে এমন ঘটনা আমি পূর্বে এতটা ঘটতে দেখিনি। প্রশ্ন ফাঁস কখনোই কাম্য নয়। অতীতে এমন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কালেভদ্রে ঘটত যা এখন প্রতি বছরই হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন এই হীন কাজ কারো পক্ষে একা করা সম্ভব নয়। এটা একটা দলগত কাজ।একজন শিক্ষক প্রশ্ন তৈরি করেন, তা যাচাই বাছাই করেন, পরবর্তীতে সেই প্রশ্ন ছাপানো হয়। প্রশ্ন ছাপা হওয়ার পর তা সিলগালা অবস্থায় রাখা হয়। আবার ট্রেজারি থেকে আনা হয় পরীক্ষা শুরুর কয়েকঘন্টা আগে। অতএব সেই প্রশ্ন একা এক ব্যক্তি কোনোভাবেই সংগ্রহ করে ফাঁস করতে পারে না।অতীতে শুনেছি দুএকজন শিক্ষক জড়িত ছিলেন এবারই প্রথম শুনলাম কোনো অধ্যক্ষ জড়িত থাকার কথা।

প্রশ্নফাঁসে জড়িত শিক্ষকদের এমপিও বাতিল সংক্রান্ত প্রশ্নে মাজহারুল হান্নান বলেন, যদি এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনীত তথ্য প্রমাণিত হয় তবে আবশ্যই তাদের এমপিও বাতিল করা দরকার এবং সেই সাথে  ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা(অপরাধ) আইনের আওতায় মামলা করা উচিত।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের - dainik shiksha দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন - dainik shiksha নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর - dainik shiksha জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028669834136963