প্রশ্নফাঁস : বুয়েট শিক্ষক নিখিলকে অব্যাহতির কারণ জানতে চান আদালত

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ থেকে বুয়েটের অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নাম কেন এবং কীভাবে বাদ দেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগ থেকে নিখিল ধরকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানান। 

গত বছরের ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এইউএসটি)। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর ডিবি পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে দেলোয়ার নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, আশুলিয়ায় তাদের ছাপাখানায় প্রশ্নপত্র ছাপার পর দুই সেটের দুটি প্রশ্ন নিয়ে নিতেন অধ্যাপক নিখিল। এরপরই তার নামটি সামনে আসে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই উত্তরসহ প্রশ্নপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুন : প্রশ্নফাঁস : সেই বুয়েট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, নিখিল ধর দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে মুদ্রিত প্রশ্নপত্রের কোনো কপি পাননি। দেলোয়ার হোসেন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান। অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যাচাই-বাছাই করে প্রশ্নফাঁস ঘটনায় অধ্যাপক নিখিল ধরের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ বা অভিযোগ পাননি তিনি।

১৬ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৪/৯/১৩ ধারায় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২২(২)/৩৩(২) ধারায় ১২ জনের বিরুদ্ধে ২টি চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  

বুয়েটের পাশাপাশি এইউএসটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর। এই সূত্রেই তিনি প্রশ্নপত্র ছাপার প্রেসে ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, প্রশ্নফাঁসের ওই ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নাম উঠে আসায় ওই শিক্ষককে আইপিই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনা তদন্তে বুয়েট কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের কমিটি করে। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে নজরদারি করে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049419403076172