জোর করে স্কুলে প্রসাদ খাওয়ানো হলে অন্যায় : হাইকোর্ট

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

হিন্দু ধর্মালম্বীদের এনজিও ইসকনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের স্কুলে স্কুলে প্রসাদ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করানোর অভিযোগ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তবে, এ বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি। আদালত বলেছেন, ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে, জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে যদি প্রসাদ খাইয়ে থাকে, তবে সেটা অন্যায়।

তবে, দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা গেছে বাস্তবে ইসকন পরিচালিত ১০টি স্কুলের সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীদের প্রসাদ খাওয়ানো হয়েছে। রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতিবছরই এ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসকন। আর যে স্কুলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানের শতভাগ শিক্ষার্থী সনাতন ধমাবলম্বী। কিন্তু একটি মহল অন্যান্য বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সেটিকে অন্যান্য স্কুল বলে চালিয়ে দিচ্ছে। প্রসাদ খাওয়ানোর ঘটনাকে কতিপয় শিবিরপন্থি সাংবাদিক ও দুষ্টুচক্র ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া প্রতিক্রিয়াশীল একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রসাদ খাওয়ানোর ঘটনা প্রচার করছে আর বিএনপি নেতা ও আইনজীবী তৈমুর আলম সেই পত্রিকাটি আদালতের নজরে আনেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রসাদ খাইয়ে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হরে কৃষ্ণ হরে রাম মন্ত্র পাঠ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদেনে বলা হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ‘ফুড ফর লাইফ’ কর্মসূচির আড়ালে গত ১১ জুলাই থেকে নগরীর কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীর মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকন। ইসকন কর্মীদের শেখানো মতে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করে এ প্রসাদ গ্রহণ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

এই প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার আদালতের নজরে এনে আইনজীবী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার আদালতকে বলেন, এক ধর্মের রীতি নীতি অন্য ধর্মের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া আমাদের সংবিধান বিরোধী।

হাইকোর্ট বলেন, একটা এনজিও স্কুলে খাবার বিতরণ করতে পারে। কিন্তু জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে যদি প্রসাদ খাইয়ে থাকে, তবে সেটা অন্যায়। আদালত বলেন, আমরা কোনো ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। এর আগে শবে বরাত নিয়েও আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। আপনারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিতে পারেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি আছে, স্থানীয় প্রশাসন আছে তাদেরকে বলুন।

এদিকে স্কুলে প্রসাদ খাওয়ানোর ঘটনাটি পরিষ্কার করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইসকন। তাঁরা বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইসকনের পক্ষ থেকে ১০টি স্কুলের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের মাঝেই খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সনতান ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এলাকায় একটি স্কুলের হিন্দু শিক্ষার্থীরা ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র বলেছে। যে ভিডিও বিকৃত করে উস্কানিমূলক প্রচারণ চালাচ্ছে একটি মহল।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037992000579834