প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আগামী অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'নো ভ্যাট অন এডুকেশনে'র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাব ইউজিসির খতিয়ে দেখা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন টিউশন ফি নীতিমালা প্রণয়ন, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং করোনাকালে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিতে প্রণোদনা দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মুখপাত্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী শাহ রেজোয়ান বলেন, বিগত ২০১০ ও ২০১৫ সালে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরে সরকারের যে অযৌক্তিক কর চাপানোর চেষ্টা ছিল তার বিরুদ্ধে 'নো ভ্যাট অন এডুকেশন' সরব ছিল। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পণ্যে রূপান্তর করার অপচেষ্টা রুখে দিয়ে ২০১৫ সালে সরকারকে আমরা ভ্যাট প্রত্যাহারে বাধ্য করেছিলাম। যেখানেই শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নূ্যনতম চেষ্টা চলবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, যে কর আরোপের প্রস্তাবনা হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তালে ছাত্রসমাজ কোনোভাবেই তা মেনে না। এ ছাড়াও আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষা খাতে প্রস্তাবিত বাজেট বিগত বাজেটের মোট জিডিপির তুলনায় ০.০৩৬ শতাংশ কমেছে। এই বাজেট কোনোভাবেই শিক্ষাবান্ধব হতে পারে না। আমরা শিক্ষা খাতে মোট জিডিপির আট ভাগ দাবি করছি।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

সংবাদ সম্মেলনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাওন বিশ্বাস, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শাহরিয়ার অপূর্ব, সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটির শাজাহান শান্ত, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির রাকিবুল হাসান শুভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী প্রিতম ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এইচএসসির ফরম পূরণের সময় ফের বাড়লো - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণের সময় ফের বাড়লো সিস্টেম এনালিস্ট চুরি করেন ৫ হাজার পিস বিশেষ কাগজ - dainik shiksha সিস্টেম এনালিস্ট চুরি করেন ৫ হাজার পিস বিশেষ কাগজ আসন ফাঁকা ৮৭ শতাংশ কলেজেই - dainik shiksha আসন ফাঁকা ৮৭ শতাংশ কলেজেই স্কুল ছুটি দিয়ে প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশ - dainik shiksha স্কুল ছুটি দিয়ে প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশ প্রশিক্ষণ ভাতা পেতে ঘুষ, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা - dainik shiksha প্রশিক্ষণ ভাতা পেতে ঘুষ, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার আলোচনা - dainik shiksha শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার আলোচনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040960311889648