চলমান জাতীয় শিক্ষাক্রমে ‘পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক’ এক কর্মশালা আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুপুরে কর্মশালার উদ্বোধন হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সচিব মোসা. নাজমা আখতার দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মশালার আয়োজন করা হলেও নেই কোনো প্রস্তুতি। কর্মশালায় আমন্ত্রিত অন্তত ৫ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনোরকম প্রস্তুতি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ আয়োজন।
কর্মাশালায় প্রধান অতিথি থাকবেন এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি আন্তবোর্ড চেয়ারম্যান কমিটি ও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা’র চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার, এনসিটিবি’র প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সদস্য প্রফেসর মো. মোখলেস উর রহমান, এনসিটিবি’র সদস্য (অর্থ) মো. মুনির হোসেন খান ও এনসিটিবি’র সচিব মোসা. নাজমা আখতার। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করবেন এনসিটিবি (শিক্ষাক্রম) সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান।
কর্মশালায় আরো যারা খাকবেন বলে জানা গেছে তারা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের প্রফেসর ড. এম তারিক আহসান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) জাকির হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মো. মনজুরুল কবীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের গবেষণা কর্মকর্তা (পরীক্ষা ও মূল্যায়ন) মুহাম্মদ আসলাম খালেদ।
জানা যায়, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরু থেকেই অভিভাবকেরা বলে আসছেন, নতুন শিক্ষাক্রম ভালো কিন্তু হঠাৎ করেই বহু যুগের প্রচলিত পদ্ধতির পরীক্ষা তুলে দেয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি মূলত নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথম বছরের মতো ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক করবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণিতে কীভাবে পরীক্ষা যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করবে।
এর আগে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ বা মতামত দিতে হবে।
গত ৫ মার্চ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত আদেশে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
পাবলিক পরীক্ষাসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যালোচনা করে তা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সুপারিশ করতে হবে। এ ছাড়া পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, সংশোধন, পরিমার্জন এবং নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনা ও সুপারিশ দেয়া।
কমিটিকে প্রতিমাসে অন্তত একটি করে সভা এবং প্রয়োজনে একের অধিক সভা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনে গঠিত কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য বা সদস্য কো-অপ্ট করার সুযোগও রাখা হয়।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।