সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত কয়েকবছর ধরে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেছে। গত ৫ অগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিভিন্ন ক্ষেত্র সংস্কারের অংশ হিসেবে এ টুর্নামেন্ট দুটির নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ প্রতিযোগিতার নতুন নাম রাখা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক-বালিকা)। এ দুই টুর্নামেন্টের নাম বদলের সিদ্ধান্তের কথা গত মঙ্গলবার মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। বুধবার তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠি আমি গত সোমবার পেয়েছি। চিঠি পাওয়া মাত্রই আমি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আসছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাঝে করোনা মহামারির জন্য ২০২০ ও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়নি।
চলতি বছর ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। চলতিত বছরের এপ্রিলে প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের লিখিত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই দুই টুর্নামেন্টের নাম পরিবর্তনের কথা অধিদপ্তরকে জানায় মন্ত্রণালয়। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।