প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। 

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নির্ধারিত সিডিউল অনুসারে ১৫ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এই মুহূর্তে নেয়া সম্ভব হবে না। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করব। পরীক্ষা বাতিল করা বা এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত আমার নেইনি।

তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমরা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে চাই। আর তাদের ঘরে রেখেই পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই। তাই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাস সংসদ টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৬ মার্চ স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কথা বয়েছে। তবে, ভাইরাসের সংক্রমণ না কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়তে পারে বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

গত ৭ এপ্রিল থেকে ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সংসদ টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম এ ছয় শ্রেণির ক্লাস প্রচার হচ্ছে। প্রতি ক্লাসের সময়সীমা ২০ মিনিট।

জানা গেছে, টিভিতে পাঠদানকারী শিক্ষক শ্রেণিপাঠ শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ে বাড়ির কাজ দেবেন। শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে। বিদ্যালয় খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দেবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028831958770752