প্রাথমিকের শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে যা বললেন হাসনাত

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক পদোন্নতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের সঙ্গে দেখা করার পর রাতে ফেসবুক পোস্টে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত একটি খাত। অথচ এটি সমাজে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বেতন কাঠামো এবং সামাজিক স্বীকৃতির দিক থেকে পিছিয়ে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা, দেশের সামগ্রিক শিক্ষা উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না করা গেলে উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান অর্জন করা সম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, এই বাস্তবতায়, প্রাথমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর পরিবর্তন, মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি, এবং অন্যান্য দাবির বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় স্যারের কাছে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।

হাসনাত আরো লেখেন, উপদেষ্টা তাকে আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা হবে। তিনি লেখেন, সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ফলে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামো পরিবর্তন, মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং সামাজিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এরপর একজন শিক্ষকের মেসেজ উল্লেখ করে রাতেই আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তারা না পারে কিছু বলতে, না পারে সইতে। ১৭-১৮ হাজার টাকার সীমিত বেতনে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। পরিবার, মা-বাবার যত্ন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে তারা যেন জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছেন।

ওই পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অবহেলিত রেখে জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়।
 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে এমপিও প্রক্রিয়ায় জটিলতা, বেকায়দায় শিক্ষা প্রশাসন - dainik shiksha ইএফটিতে এমপিও প্রক্রিয়ায় জটিলতা, বেকায়দায় শিক্ষা প্রশাসন সরকারি চাকুরেদের বিদেশে বিনোদন ভ্রমণও স্থগিত দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ছুটিতেও না - dainik shiksha সরকারি চাকুরেদের বিদেশে বিনোদন ভ্রমণও স্থগিত দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ছুটিতেও না বৈষম্যমূলক জাতীয়করণ সমস্যার সমাধান জরুরি - dainik shiksha বৈষম্যমূলক জাতীয়করণ সমস্যার সমাধান জরুরি বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি জাবি ছাত্রীর সঙ্গে অ*শোভন আচরণ, ৩০ বাস আ*টক - dainik shiksha জাবি ছাত্রীর সঙ্গে অ*শোভন আচরণ, ৩০ বাস আ*টক কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে প্রকৌশল গুচ্ছ ‍টিকিয়ে রাখতে উপাচার্যদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি - dainik shiksha প্রকৌশল গুচ্ছ ‍টিকিয়ে রাখতে উপাচার্যদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জানুয়ারিতে সব শ্রেণির বই দেয়া নিয়ে শঙ্কায় অর্থ উপদেষ্টা - dainik shiksha জানুয়ারিতে সব শ্রেণির বই দেয়া নিয়ে শঙ্কায় অর্থ উপদেষ্টা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049200057983398