প্রাথমিকে আর কতো শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

তিন বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগেও শিক্ষক নিয়োগের আলাদা দুটি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। এ তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, প্রাথমিক সুপারিশের আগে পদ সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই কৌশলগত কারণে বিজ্ঞপ্তিতে পদ সংখ্যা উল্লেখ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে আমরা মোট সাত হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। তিন বিভাগের স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আরও দুইটি বিজ্ঞপ্তি ‘পাইপলাইনে’ আছে। শিগগিরই প্রকাশিত হবে। 

তিনি আরও বলেন, তবে প্রার্থী সুপারিশের সময় পদের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। তখন আমরা শূন্যপদে তথ্য সংগ্রহ করে তা অন্তর্ভুক্ত করবো। এজন্য বিজ্ঞপ্তিতে পদ সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। আর এ পদগুলোর মধ্যে সৃষ্ট পদ আছে, যেগুলো প্রাক-প্রাথমিকের। আর প্রাথমিকের শূন্যপদেও শিক্ষক নিয়োগ হবে।

প্রচলিতভাবে মোট ৬১টি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতো। আর তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব জেলা পরিষদের। তবে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে বিভাগভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে কয়েকটি বিভাগের গুচ্ছ বা ক্লাস্টারভিত্তিতে। 

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রাথমিকের সাত হাজার চারশর বেশি শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দেয়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ বাড়িয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগে অনেক সময় লেগে যায়। তাই কয়েকটি বিভাগ করে গুচ্ছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি আরও দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। 

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সারাদেশে একযোগে নিয়োগ পরীক্ষার পরিবর্তে আট বিভাগকে চার ভাগে বিভক্ত করে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। এক সঙ্গে অনেক শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না। বিভাগভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা নেয়া হবে। যেসব বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, সেগুলোতে শুধু সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত শিক্ষক পদ শূন্য হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণে প্রতি বছর অন্তত দুটি করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নিয়োগ শেষ করতে যেহেতু সময়ক্ষেপণ হয়, সেহেতু আমরা বিভাগওয়ারি ক্লাস্টার পদ্ধতিতে এগোচ্ছি। এ পদ্ধতিতে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে। আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। একবারে একটি বা দুটি বিভাগ ক্লাস্টার করলে ছয় মাসের মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে বুয়েট। যে বিভাগে শূন্যপদ বেশি থাকবে, সে বিভাগে আগে ক্লাস্টার করা হবে। 

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন - dainik shiksha আইনের মারপ্যাঁচে অনিশ্চিত ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন ‘ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শিগগিরই’ - dainik shiksha ‘ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শিগগিরই’ হাই-টেক পার্কের নাম হবে জেলার নামে: উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha হাই-টেক পার্কের নাম হবে জেলার নামে: উপদেষ্টা নাহিদ দীপু মনির নামে আরেক মামলা, আসামি ৬০০ - dainik shiksha দীপু মনির নামে আরেক মামলা, আসামি ৬০০ স্কুল-কলেজে বিশৃঙ্খলা : কোথাও জবরদস্তি কোথাও পালিয়ে থাকা - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বিশৃঙ্খলা : কোথাও জবরদস্তি কোথাও পালিয়ে থাকা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040180683135986