তিন বছর ঝুলে থাকার পর চূড়ান্ত হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা। এর অধীনে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের দুটি পরিচালক পদেও ধাপে ধাপে যেতে পারবেন প্রাইমারির শিক্ষকরা।
মন্ত্রণালয় বলছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জারি হবে প্রজ্ঞাপন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, এ অবস্থা কাটাতে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা তৈরির কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়। নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে বিধিমালা। এর ফলে ৬৫ হাজার শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। সুযোগ পাবেন অধিদপ্তরেও।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের একজন নেতা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে চার লাখ। এদের বেশিরভাগের চাকরি জীবন শেষ হয় পদোন্নতি ছাড়াই। ফলে শিক্ষকেরা চরম হতাশায় ভোগেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেছেন, পদোন্নতির সুযোগ তৈরি হলে মেধাবীরাও এই পেশায় আসবে। এতে শিক্ষার মান আরো উন্নয়ন হবে।
সেই সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যও দূর করার তাগিদ শিক্ষা গবেষকদের।