প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম দুই জেলায় স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর সারাদেশে শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেও দুই জেলায় এ কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগ কার্যক্রমে কোটা অনুসরণ না করার অভিযোগে আদালতে রিট দায়ের হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, নওগাঁ ও ভোলা জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমে নারী-পুরুষ কোটা অনুসরণ হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে এ বিষয়ে একটি রিট দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাকে রিট শুনানির কাগজ তুলতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে জবাব দেয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, যেহেতু রিটে নওগাঁ ও ভোলা জেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এ কারণে এ দুটি জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে। বাকি সব জেলায় ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে চূড়ান্তভাবে পাস করা প্রার্থীদের যোগদান ও পদায়নের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

তিনি বলেন, নিয়োগ কার্যক্রমে সঠিকভাবে কোটা অনুসরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নারী প্রার্থী না পাওয়ায় মোধা তালিকায় যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই নিম্ন আদালতে আশানুরূপ রায় না হলে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক পদে পাস করা প্রার্থীদের শূন্যপদে ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে বলা হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের পদায়নের আদেশ জারির ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ- ২০১৮ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের ১২ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করা হবে। ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ডাকযোগে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাঠানো হবে। কোনো প্রার্থীর নিয়োগপত্র জারি না হলে তাদের তালিকা ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।

১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার নিদের্শনাবলী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

গত বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ধাপে লিখিত ও পরে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে আট হাজার ৫৭০ জন নারী ও নয় হাজার ৫৭৭ জন পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন। সম্প্রতি শূন্য আসনে তাদের যোগদানের সময় ঘোষণার পর গতকাল মঙ্গলবার অনিয়মের অভিযোগে আদালতে রিট করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057868957519531