দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: আগামী শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ৩ বিভাগের প্রথম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঘুস দিয়ে বা অনৈতিক কোনো উপায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কেউ এ ধরনের প্রস্তাব দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ১ম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা আগামী ০৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলাপর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি অনুসরণপূর্বক সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।
এছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
এই অবস্থায় কোনো দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবার কোনো সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে।
কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।