সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা আজ। প্রথম ধাপে ২৫ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ছাপাসহ পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছবে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করছেন। লিখিত পরীক্ষা দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলার ২৪ লাখ এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী প্রায় ১২ হাজার পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেছেন, শুক্রবার প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। মোট নয়টি প্রশ্ন সেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে একটি সেট নির্ধারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। এবারের পরীক্ষায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব ছাড়ায় তবে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত মনিটরিং করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এ পরীক্ষা চলাকালীন নতুন করে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। প্রতি ধাপের পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে অধিদপ্তর পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছে, প্রার্থীরা প্রতি পর্বের পরীক্ষার পাঁচদিন আগে থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রার্থীরা ডাউনলোড করা প্রবেশপত্র প্রিন্ট দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্যান্য কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক ইন্দু ভূষণ দেব তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছেন, পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। নির্বিঘ্নে পরীক্ষার আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। পরীক্ষায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব ছাড়ায় তবে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।