চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সনদে ভুল তারিখ উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষার্থীদেরকে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ ইস্যুর তারিখ ৩১/১১/১৯ দেখানো হয়েছে অথচ নভেম্বর মাস হয় ৩০ দিনে। এতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিতরণ করা সনদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এরই মধ্যে যাচাইকারী সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমরা ভুল তারিখ দেয়াসনদগুলো প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
জানা যায়, প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নভেম্বরেই সম্পন্ন হয়। উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পরের বছর মার্চের মধ্যে সনদ দেয়া হয়। কিন্তু চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সনদ বিতরণের ক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানেনি। তারা চলতি নভেম্বরের প্রথমদিকে সনদ প্রদানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সনদ ইস্যুর তারিখ ৩১ নভেম্বর উল্লেখ করে তাতে স্বাক্ষর দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম, সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন।
উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের সনদে ইস্যুর তারিখ দেখানো হয়েছে ৩১/১১/১৯। লিপিকার হিসেবে নাম রয়েছে ‘আমেনা’। যাচাইকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন। শত শত শিক্ষার্থীর সনদে একই ভুল দেখা গেছে।
সার্টিফিকেটে যাচাইকারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো নোটিশ পাননি বলে জানান।