প্রায়োগিক গবেষণায় অনেক পিছিয়ে দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় : ইউজিসি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি।

আজ সোমবার ইউজিসির সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষা বিভাগীয় কর্মচারী (শিক্ষক) কর্তৃক অর্জিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন একথা জানান। 

ড. সাজ্জাদ বলেন, ‘২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে রূপান্তর করতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই।

সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রযুক্তির আমদানি নির্ভরতা কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্ভাবনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিক্ষাক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

অন্যথায়, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা উদ্ভাবনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ইউজিসি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণাকর্ম যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য বিগত বছরগুলোতে গবেষণাখাতে বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো প্রয়োজন।’

একই দিনে কমিশন ভবনে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেখানে একই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন কমিশন চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে।’

ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেকোনো বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ বা ঘটনা ছোট কিংবা বড় এ দৃষ্টিতে না দেখে বরং প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

একইসাথে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হলেও আইনের সম প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।’ এ বিষয়ে তিনি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বচ্ছ অভিযোগ বাক্স স্থান ও অভিযোগ জমা পড়েছে কী না তা নিয়মিত তদারকির আহ্বান জানান।

কমিশন সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘অভিযোগ প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা থাকলে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026841163635254