অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল বরগুনার আমতলীর মেধাবী ছাত্রী কণার। অবশেষে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। কণার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক ব্যবসায়ী এসএম মশিউর রহমান শিহাব। এ দিকে নড়াইলের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান প্রিয়াঙ্কারও মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা যুবলীগের সদস্য সরদার তারিক হাসান।
নড়াইল প্রতিনিধি জানান, রোববার বিকেলে জেলা যুবলীগের সদস্য সরদার তারিক হাসান তার নড়াইল শহরের অফিসে প্রিয়াঙ্কার বাবা তাপস গাঙ্গুলীর হাতে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা দেন। সেই সঙ্গে লেখাপড়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে তাকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে প্রিয়াঙ্কার ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। বাবা তাপস গাঙ্গুলী ও মা কাঞ্চন গাঙ্গুলী বলেন, 'ভাবতে পারিনি প্রিয়াঙ্কার স্বপ্ন পূরণ হবে। তারিক হাসান এগিয়ে না এলে কীভাবে সে ভর্তি হতো, তা ভেবে পাচ্ছি না। আমরা তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।'
নড়াইল সদরের দুর্গাপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি ও ঘরামি তাপস গাঙ্গুলীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা।
এদিকে আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি জানান, অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রী কণার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক ব্যবসায়ী এসএম মশিউর রহমান শিহাব। মেয়ের স্বপ্ন পূরণের বাধা কেটে যাওয়ায় হাসির ঝিলিক ফুটেছে কণার গর্বিত বাবা কবির হোসেন ও মা শিরিন সুলতানা সীমার মুখে।
আমতলী পৌর শহরের দরিদ্র কবির হোসেনের দুই কন্যার একজন সামসুন্নাহার কণা। বাবা মাহিন্দ্র চালক আর মা গৃহিণী। সামান্য রোজগার দিয়েই চলছে মেয়ের লেখাপড়া। দিনাজপুর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে যেন তা হারাতে বসেছিল কণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী এসএম মশিউর রহমান। তিনি কণার বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভর্তির টাকা দেন এবং লেখাপড়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সব খরচ বহনের আশ্বাস দেন। কণা বলেন, ছোট বেলা থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। ভালো চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করব।
আওয়ামী লীগ নেতা এসএম মশিউর রহমান বলেন, 'মেধাবী কণার লেখাপড়া অনিশ্চিতের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি। তার লেখাপড়ার সমুদয় খরচ আমি বহন করব।'