ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার ঘটনায় ৬০ দিনের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। খবর আল-জাজিরা।
বৃহস্পতিবার ইউটিউবে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ল্যাসো বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা, দেশের শান্তি এবং ২০ আগস্টের অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী দেশজুড়ে প্রস্তুত রয়েছে।
আগামী ২০ আগস্ট ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসি। স্থানীয় সময় বুধবার উত্তরাঞ্চলীয় কুইটো শহরে তিনি প্রচারণা অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে তিনি গুলিতে নিহত হন। তিনি দেশটির জাতীয় পরিষদের সদস্যও।
ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওর নির্বাচনী প্রচারণা দলে থাকা এক সদস্য স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ভিলাভিসেনসিও গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় একজন লোক এগিয়ে এসে তার মাথায় গুলি করে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইকুয়েডরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো বলেছেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। একই সঙ্গে ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও হত্যার বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও একজন সাবেক সাংবাদিক। তিনি ও তার দলকে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত একটি গ্যাংয়ের নেতা হুমকি দিচ্ছেন বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন।