প্রয়াত শিক্ষকের নামে কুবির ল্যাবের নামকরণ

কুবি প্রতিনিধি |

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিসংখ্যান বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক শাহ একলিমুর রেজা আরাফাতের মৃত্যুতে অবহেলার অভিযোগ এনে ছয় দফা  দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সে সময় প্রয়াত শিক্ষকের নামে একটি ল্যাবের নামকরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ তলার দ্বিতীয়  ল্যাবের নামকরণের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রেজিস্টার মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

ল্যাবের নামকরণ প্রয়াত শিক্ষকের নামে করায় সন্তুষ্ট ও আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা সুমি বলেন, বর্তমানে ডিপার্টমেন্টে আমরা যে ব্যাচগুলো আছি, আমরা তো যে যার সময় শেষে চলে যাবো কিন্তু ৪ তলার ল্যাবে স্যারের নাম, ছবি আর বায়োগ্রাফি দেখে বছরের পর বছর শুধু পরিসংখ্যান ডিপার্টমেন্ট না বরং ক্যাম্পাসের সব স্টুডেন্ট রেজা স্যারের সম্পর্কে জানতে পারবে। স্যারের জন্যে দোয়া করবে, আর এটাই আমাদের সবার চাওয়া। স্যার আমাদের মাঝে না থেকেও আমাদের সবার চিন্তা-চেতনায় বেচেঁ আছেন এবং থাকবেন। স্যারের স্মৃতি এই ক্যাম্পাসে অমলিন থাকুক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন শিক্ষার্থীদের দাবি ও প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতেই এই উদ্যেগ। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেয়েছিলাম,স্যারের নাম যেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে না যায়। যেহেতু তিনি তার শিক্ষার্থীদের সবসময় জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করতেন,তাই তার বিভাগের একটি ল্যাবের  নামকরণ তার নামে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। এটি তার স্মৃতি স্বরূপ সব শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে যাবে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক  শাহ একলিমুর রেজা আরাফাত গত ১৯ জুলাই মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেন। ৬ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল একলিমুর রেজার নামে সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপন করে দেয়া। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে মেডিক্যাল সেন্টারের নামকরণের পরিপূরক হিসেবে ল্যাব নামকরণের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029330253601074