৪ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পে কমিশনকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, প্রশিক্ষিত স্নাতক শিক্ষক স্তরের যে সর্বভারতীয় বেতন কাঠামো রাজ্যে চালু করার কাজ কতদূর এগিয়েছে। সেই হলফনামার ভিত্তিতে ১০ জানুয়ারি শুনানি। দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতনের দাবির মীমাংসায় এখনও আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছেন রাজ্যের স্নাতক শিক্ষকেরা। কিন্তু এর আগে দু'বার আদালতের নির্দেশ শিক্ষকদের পক্ষে যাওয়া সত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার। যে কারণে তারা এবার বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন।
প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভের কথা ভেবেছেন তারা। তাতেও সরকারের নজর কাড়তে না পারলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস নেওয়া বন্ধ করার মতো চরম পদক্ষেপ করতে পারেন তারা। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় এক বড় প্রভাব ফেলবে। খবর: ডয়চে ভেলের।
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ সভাপতি সতীশচন্দ্র মাহাতো সংগঠনের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলে–কে জানালেন, আজ বলে নয়, গত ২০ বছর ধরে স্নাতক শিক্ষকদের প্রতি এই অন্যায় হয়ে আসছে। অর্থাৎ এ ব্যাপারে অতীতের বামফ্রন্ট, বা আজকের তৃণমূল সরকার, কেউই শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান এবং সাম্মানিক দেয়ার দায়িত্ব নেয়নি। অথচ নীতিগতভাবে শিক্ষকদের দাবি যে ন্যায্য, সেটা সরকার মেনে নিয়েছে।
পে কমিশনের সামনে শুনানিতেও সংগঠনের বক্তব্য মানতে বাধ্য হয়েছেন আধিকারিকরা। কিন্তু প্রতিবিধানের আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। ফলে একরকম বাধ্য হয়েই এবার আন্দোলনের দিকে হাঁটছেন স্নাতক শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন বিক্ষোভও চাপে রেখেছিল রাজ্য সরকারকে। সিঙ্গুর জমিরক্ষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জির টানা ২৬ দিনের অনশনের ‘রেকর্ড' ভেঙে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক–শিক্ষিকাদের ২৮ দিনের অনশন। তার শাস্তিও পেতে শুরু করেছেন তারা। কাজ ফেলে ধরনা দেয়ার ‘অপরাধে' ওদের প্রত্যেকের বেতন কাটা শুরু হয়েছে। এই মাসে দুশো টাকা, তিনশো টাকা করে বেতন পেয়েছেন তারা।