শিশুদের শেখানোর জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কথা বলার সুবিধার জন্য বিষয়গুলো পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়। যেমন দুর্নীতিবিরোধী বিষয়, বিভিন্ন আইনের বিষয়, সামাজিক নানা দিক ইত্যাদি! আমিও বলেছি অনেক ক্ষেত্রেই। এভাবে পাঠ্যবইয়ে সব অন্তর্ভুক্ত করতে থাকলে একসময় বই আর মোটা হতে থাকবে। বইয়ের বোঝা কমানোর পরিবর্তে তা আরও বাড়তে থাকবে। শিশুরা বইকে তখন আরও বেশি বিরক্তির কারণ বলে মনে করবে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
এ কারণেই এখন নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে। পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হলে কোনো বিষয় সেটা বইয়ের পড়ার মতো করে মুখস্থ পড়া হিসেবেই থেকে যায় অথবা তা বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়! যার ফলে অনেক কিছুই শিশুদের মননে থাকে না! তারা মন থেকে ভাবেও না এটা জীবনের জন্য প্রয়োজন, প্রয়োজন সঠিক একটি পথের জন্য। এখন শিক্ষকদের জন্যই একটি বই প্রকাশ করা প্রয়োজন বলে মনে করি। শিক্ষকরা কোন কোন বিষয় পাঠ্যবইয়ের বাইরে সন্তানদের কোন কোনভাবে তাদের মননে ঢুকিয়ে দেবেন, সে বিষয়গুলো পুরো বইটি জুড়ে থাকবে। সেখানে বছর বছর নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে থাকবে। সেখানে ধর্মের বিষয় থাকবে, আইন থাকবে, শিষ্টাচার থাকবে, থাকবে সামাজিক নিয়ম ও সুন্দর সুন্দর নৈতিক বিষয়গুলো। সপ্তাহে একদিন নৈতিক শিক্ষার দিন শিশুদের মাঝে শিক্ষকরা এই বইয়ের ওপর আলোচনা করবেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে প্র্যাকটিক্যাল ধারণা দেবেন এবং একসময় সন্তানদের কাছ থেকে আমরা নৈতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে সুন্দর প্রকাশ দেখতে পাব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টির ওপর দৃষ্টিপাতের ব্যপারে বিনীত আবেদন রইল।
লেখক: সাঈদ চৌধুরী, শ্রীপুর, গাজীপুর