ফটোকপি করা প্রশ্নপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দিয়ে একটি কেন্দ্রের ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার শ্রীবরদী এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের সৃজনশীল অংশে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রশাসন, কেন্দ্রসচিব ও পরীক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক অংশ দিয়ে ঢাকা বোর্ডের অধীন ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা শেষে বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল অংশের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। কিন্তু শ্রীবরদী এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩ ও ৮ নম্বর কক্ষের ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০১৮ সালের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা উত্তর লিখতে গিয়ে নির্ধারিত সিলেবাসের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মিল খুঁজে পায়নি। ভুল প্রশ্নপত্রের বিষয়টি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার্থীরা কক্ষের কর্তব্যরত পরিদর্শকদের বিষয়টি জানায়।

পরিদর্শকদের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেঁজুতি ধর ও কেন্দ্রসচিব মো. আবুল খায়ের ৩ ও ৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এরপর সেঁজুতি ধরের তত্ত্বাবধানে তাঁর কার্যালয়ে মূল প্রশ্ন থেকে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি করে পুনরায় ওই দুটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তা সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ জন্য পরীক্ষার্থীদের ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।

কেন্দ্রসচিব মো. আবুল খায়ের বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে সরবরাহ করা একটি প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের গায়ে ২০১৯ সাল লেখা ছিল। কিন্তু প্যাকেটের ভেতরে ছিল ২০১৮ সালের প্রশ্ন। পরীক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের কাছে এ ভুল ধরা পড়লে ইউএনওর তত্ত্বাবধানে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। এটি বোর্ডের ভুল ছিল, স্থানীয় কোনো ভুল নয়।

ইউএনও সেঁজুতি ধর  বলেন, ২০০ প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেটে ২০১৯ সালের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ সালের প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। তাই পরীক্ষার্থীদের অসুবিধাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমার কার্যালয়ে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047149658203125