ধুনট উপজেলায় তিন পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফতোয়াবাজ সেই স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত একটি পত্র অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রদান করেছেন।
আমিনুল ইসলাম উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। তিনি বগা মানিকপোটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও রঘুনাথপুর গ্রামের সমাজপতি। উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আবু হানিফ, আবু বক্কার ও আবুল কালাম। এর মধ্যে আবু হানিফের বিরুদ্ধে এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে রঘুনাথপুর গ্রামের সমাজপতি আমিনুল ইসলাম মাস্টার ১৫ মাস আগে আবু হানিফ ও তার দুই ভাইকে সমাজচ্যুত করেন।
এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রঘুনাথপুর গ্রামবাসীসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ২৭ আগস্ট তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন। সেই বৈঠকে ফতোয়াবাজ স্কুল শিক্ষক ও গ্রামের অন্য মাতব্বরগণ ভুল স্বীকার করে গ্রামবাসীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাজচ্যুত তিন পরিবারকে সমাজে ফিরে নেন।
এদিকে ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ফতোয়াবাজ স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ইউএনও। ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতার প্রমাণ পাওয়ায় ২৭ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান ফতোয়াবাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর সুপারিশসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেন।