সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ চলছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সদরের স্কুলগুলোতে ফরম পূরণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের অগ্রিম জানিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় দু-একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই তাদের অকৃতকার্যতা মেনে নিতে পারছে না। তারা যদি পরীক্ষার খাতা দেখাতে শিক্ষকদের বলে, তখন শিক্ষকরা তাদের পরীক্ষার খাতা দেখান না।
এসবের পেছনে কি অসাধু শিক্ষকদের হাত আছে? বিগত বছরগুলোতে অনেক শিক্ষার্থীর কাছে শোনা গেছে, বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করিয়ে দিয়েছেন। যদি বাস্তবে এসব ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে জাতি গঠনের কারিগরদের কাছ থেকে জাতি বা অভিভাবকরা কখনও তা আশা করেননি। চাঁদপুর সদরের বেশ কয়েকটি স্কুল আছে, যেসব স্কুলে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করার হুমকি দিয়ে জোর করে প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষকরা এমন দুর্নীতিতে লিপ্ত হবেন, তা মোটেও কাম্য নয়।
বিশেষ করে চাঁদপুর সদরে অবস্থিত শহর কিংবা পল্লীর আনাচে-কানাচে অবস্থিত স্কুলগুলোর ওপর ভালোভাবে দৃষ্টি দিতে হবে, যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নিতে না পারে এবং শিক্ষা-বাণিজ্য বন্ধ করা হোক। অসাধু শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আইনের হাতে সোপর্দ করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
বাংলা সম্মান, চাঁদপুর সরকারি কলেজ