ফলের দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে মানববন্ধন ২৩ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহায়ক পদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে আগামী ২৩ শে জুলাই মঙ্গলবার শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে ফলাফল প্রত্যাশীরা। মাউশি ২২টি পোস্টে ১ হাজার ৯৬৫টি শূন্যপদে গত মার্চ ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে  নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

প্রথম পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সে পরীক্ষা দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে স্থগিত হয় এবং ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে বাতিল করা হয়।

আবার ৭ জুলাই ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ৪র্থ শ্রেণির অফিস সহায়ক পদসহ উচ্চমান সহকারী, হিসাব সহকারী ও বুক সর্টার পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই বছর সব পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে এবং আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে উচ্চমান সহকারী, হিসাব সহকারী এ দু’টি পদের মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ করে। কিন্তু লিখিত ও ভাইভা নেয়ার এক বছর ৮ মাস পার হলেও অফিস সহায়ক বা এমএলএসএস ও বুক সর্টার পদের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেনি মাউশি।

একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বাকি ২০ টি পদের নিয়োগ সম্পন্ন হলেও অফিস সহায়ক ও বুক সর্টার পদের নিয়োগ আটকে আছে। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে একাধিকবার মাবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং মানববন্ধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাউশি মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ফলাফল প্রত্যাশীরা।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য কয়েকবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। জানা যায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা ৯শ’ ৮৭ পদ বাদেই গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই হাজার ২০১টি পদ ফাঁকা রয়েছে। পদ শূন্য থাকায় স্কুল ও কলেজে দাপ্তরিক কাজে ভোগান্তি হচ্ছে।

অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন। সেখানে বলা হয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে ‘নো ওয়ার্ক নো পে’র ভিত্তিতে স্কুল-কলেজে কর্মরত কর্মচারীদের ৪৮টি রিট মামলা বিচারাধীন। যাতে রিট পিটিশনার দুই হাজার ২০২ জন।

একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট উভয়পক্ষকে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বহাল রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061390399932861