চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল স্যাম অল্টম্যানকে। তবে নানা নাটকীয়তা শেষে আবারও প্রতিষ্ঠানটিতে ফিরেছেন তিনি। আর ফিরে এসেই নিয়েছেন কঠিন পদক্ষেপ, ওপেনএআই’র পরিচালনা পর্ষদকেই বরখাস্ত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ স্যাম অল্টম্যানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। বোর্ড সদস্য অ্যাডাম ডি'অ্যাঞ্জেলো, তাশা ম্যাককাউলি, হেলেন টোনার এবং ওপেনএআইয়ের তৃতীয় সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিজ্ঞানী ইলিয়া সুটস্কেভার এ সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর পদত্যাগ করেন স্যাম অল্টম্যান। তার পদত্যাগের পরে প্রতিষ্ঠানটির আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও পদত্যাগ করেন। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার পর প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ কর্মী তাদের পরিচালনা পর্ষদকে খোলা চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রটিকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যানের পদত্যাগে প্রতিষ্ঠানের কাজ ও লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে; যা প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করছে।’
ওপেনএআই পরিচালনা করার ‘যোগ্যতা’ বোর্ডের নেই জানিয়ে শিগগিরই স্যাম অল্টম্যান ও অন্যদের স্বপদে পুনর্বহালের দাবিও জানান কর্মীরা।
এরপর সবাইকে চমকে দিয়ে পুনরায় সিইও হিসেবে যোগ দেন অল্টম্যান। আর যোগ দিয়েই তাকে অপসরণের সিদ্ধান্ত নেয়া বোর্ড সদস্যদের বরখাস্ত করলেন তিনি। যদিও পরিচালনা পর্ষদের একজনকে এখনো বহাল রেখছেন অল্টম্যান। তিনি হলেন ওপেনএআইয়ের প্রশ্ন ও উত্তর সাইট কুয়োরার সিইও অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো। এখন তার সঙ্গে বোর্ডে যোগ দিতে পারেন এক্স-সেলসফোর্সের কর্মকর্তা ব্রেট টেইলল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও হার্ভার্ড ইউনির্ভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ল্যারি সুমার্স।
এছাড়া নতুন করে ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যানও এই বোর্ডে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অল্টম্যানের পদত্যাগের পরপর তিনিও ওপেনএআইয়ের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়েছিলেন।
এদিকে অল্টম্যান ফিরে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে গ্রেগ ব্রকম্যানও জানিয়েছেন, তিনি ওপেনএআইতে ফিরে আসবেন।