ফিলিস্তিনি শিশুদের স্কুল গুড়িয়ে দিল ইসরায়েল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিপীড়ন-নির্যাতন চলছেই। ইহুদি এই দেশটির দমন-নিপীড়ন থেকে বাদ যাচ্ছে না ফিলিস্তিনি শিশুদের স্কুলও। এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি স্কুল গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি বাহিনীর গুড়িয়ে দেওয়া ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়া পশ্চিম তীরের এই এলাকায় ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির সম্মুখীনও হচ্ছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসফেই আল-ফাউকা গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে দিয়েছে। 

মাসাফের ইয়াত্তার স্থানীয় কাউন্সিলের প্রধান নিদাল ইউনিস আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী পাঠদান সেশন চলাকালীন স্কুলটি ভেঙে দেয় এবং এসময় ছাত্ররা ভেতরেই ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) বাচ্চাদের ভয় দেখাতে এবং স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য শব্দ উৎপন্নকারী বোমা ব্যবহার করে।’

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতে, ইসরায়েলি হাইকোর্ট অব জাস্টিস বুধবার ওই স্কুলটি ভেঙে দেওয়ার আদেশ স্থগিত করার যে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা ছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সেটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

আল জাজিরা বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রশাসনিক বিষয়গুলোর দায়িত্বে রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা দ্য কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভেটিস ইন দ্য টেরিটরিস (সিওজিএটি)। সংস্থাটি বলছে, অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবন তারা ভেঙে দিয়েছে। কারণ ওই ভবনটি ফায়ারিং জোনের কাছেই অবস্থিত।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভেঙে দেওয়া এই স্কুলটি প্রায় এক মাস আগে নির্মিত হয় এবং দুই সপ্তাহেরও কম সময় ধরে এটি চালু ছিল। এছাড়া স্কুলটি মাসাফের ইয়াত্তার চারটি পৃথক গ্রামের ২২ জন শিক্ষার্থীকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করাচ্ছিল।

মাসাফার ইয়াত্তা অঞ্চলের কর্মী ফাদি আল-উমুর আল জাজিরাকে বলেছেন, ভেঙে দেওয়া স্কুলটি ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামের অধীনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে নির্মিত এক ডজনেরও বেশি স্কুলের মধ্যে একটি।

ফিলিস্তিনিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বলেছে, স্কুলটি গুড়িয়ে দেওয়ার খবরে তারা ‘আতঙ্কিত’ হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এই ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা করেছে এবং একে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053520202636719