দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের পক্ষে সুপারিশ করা হবে কি না—চলতি এপ্রিল মাসেই এ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এএফপির এক প্রদিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থার সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই অঙ্গ সংগঠন থেকে সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য হওয়ার বিষয়ে সংস্থা এই মাসে সিদ্ধান্ত নেবে। র্দীঘ সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে।
গাজা যুদ্ধ এখন সপ্তম মাসে চলছে। যুদ্ধবন্ধে কাউন্সিলের পদক্ষেপকে ফিলিস্তিন ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে, ইসরায়েল তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ঘূর্ণায়মান সভাপতির বর্তমান দায়িত্বে থাকা মাল্টার রাষ্ট্রদূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার বলেছেন,‘পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এপ্রিল মাসে এই বিষয়ে আলোচনা হতে হবে।’
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার যে কোনো অনুরোধ প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এখানে ভেটো প্রদান করে আসছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের পর সাধারণ পরিষদে সেটি অনুমোদন করা হবে।
ফিলিস্তিন ২০১২ সাল থেকে বিশ্ব সংস্থায় পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। তারা পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর ধরে লবিং করেছে। যা স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সমতুল্য হবে।
‘আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ এ কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা নতুন সদস্যপদ সংক্রান্ত একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা গত সপ্তাহে তাদের আনুষ্ঠানিক ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের বিড পুনরায় চালু করার পর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মনসুর সাধারণ পরিষদে বলেছেন, ‘আমরা যা চাই তা হল রাষ্ট্রসমূহের এই কমিউনিটির মধ্যে আমাদের ন্যায্য স্থান দেওয়া। অন্যান্য জাতি ও রাষ্ট্রের সমান হিসেবে বিবেচিত হওয়া এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদায়, শান্তি ও নিরাপত্তায়, আমাদের পৈতৃক ভূমিতে বসবাস করার অধিকার দেওয়া।’
পর্যবেক্ষকরা যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ভেটোর ভবিষ্যদ্বাণী আশঙ্কা করছেন, যা ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে থেকে ফিলিস্তিনি সদস্যপদের বিরোধিতা করেছে।
জাতিসংঘে ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান এমন একটি অবস্থান যা পরিচিত, এটি পরিবর্তিত হয়নি।’ ‘তবে আমরা একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আনতে পথ খুঁজে বের করতে যাচ্ছি।’
মার্কিন আইনের অধীনে, যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে পূর্ণ সদস্যপদ প্রদানকারী জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর তহবিল বন্ধ করতে হবে। যদিও এটি কখনও কখনও বেছে বেছে আইন প্রয়োগ করেছে।