দৈনিক শিক্ষাডটকম, ফেনী : ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় হাত, পা ও মুখ বেঁধে এক শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পালিয়ে তার বড় বোন বেঁচে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার পরশুরামের পৌর এলাকার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবক লামিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচে। বর্তমানে নিহতের বড় বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুই বোন স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। তবে ঘটনার সময় নুরুন্নবী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফেনী শহরে ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় এসে নিজেদের পল্লীবিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে। ওই সময় দুই বোন দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরের ভেতরে ঢুকে লামিয়াকে টেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে হত্যা করে। এ সময় বড় বোন ফাতেমা পালিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
নুরুন্নবী পরশুরামের পৌর এলাকার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে বাঁশদুয়ার পশ্চিম পাড়া এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানাকে নিয়ে থাকতেন।
নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তার অভিযোগ করেন, নুরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার (আয়েশার) সন্তান লামিয়াকে হত্যা করেছে। আয়েশা আক্তার এ ঘটনায় নূরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে দোষারোপ করেন।
পরশুরাম থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।