দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত করা হবে। জানুয়ারি মাসে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে ডিসেম্বরের শেষ দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানুয়ারির শেষ দিকে পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখসহ যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত করতে এবার তিনটি সভা করা হবে। এর মধ্যে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আগামী সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করব। যেন যেকোনো সময় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা যায়। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই ভর্তি পরীক্ষা নেব।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করবেন বলেও জানান তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেজন্য আমরা আগেভাগেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত করাসহ যাবতীয় কার্যক্রম চূড়ান্ত করে রাখতে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
এর আগে গত ১০ মার্চ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার একদিন পরই ১২ মার্চ ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৯ হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেরা পাস করেছে ২০ হাজার ৮১৩ জন, যা শতকরায় ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ও মেয়েরা পাস করেছে ২৮ হাজার ৩৮১জন অর্থাৎ ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মেধ্যে ছেলেরা সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাবে এক হাজার ৯৫৭ জন অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ। আর মেয়েরা সুযোগ পাবে দুই হাজার ৩৯৩ অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ।