ফের শুরু হচ্ছে প্রাথমিকে বদলি আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে বদলির আবেদন ফের শুরু হচ্ছে। এ জন্য বদলিসংক্রান্ত সফটওয়্যার আপগ্রেড করার কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এটা শুরু হতে পারে। এর আগে দুই দফায় অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, ইতিমধ্যে বদলিসংক্রান্ত সফটওয়্যার আপগ্রেড করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত বদলি নির্দেশিকায় যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা সফটওয়্যারে যুক্ত করার পর আবারও অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হবে। তবে বদলির আবেদন আপাতত চলবে শুধু আন্তউপজেলা পর্যায়ে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘সম্প্রতি সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকার কিছু শর্ত সংশোধন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারও অনলাইনে বদলির আবেদন শুরুর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে।’

এত দিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বদলি নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তবে এবার এ কার্যক্রম হচ্ছে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে।

এর আগে ১৮ অক্টোবর ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা’র কিছু শর্ত সংশোধন করে আদেশ জারি করা হয়। আগের নির্দেশিকার কিছু শর্তের কারণে বদলির আবেদনই করতে পারেননি অধিকাংশ শিক্ষক।

সংশোধিত বদলি নির্দেশিকায় আগের নির্দেশিকার ৩ নম্বর ধারার উপধারা ৩ শিথিল করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছিল, যেসব বিদ্যালয়ে চার বা তার কম শিক্ষক কর্মরত আছেন, কিংবা প্রতি ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন, সেসব বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না।

সংশোধিত নির্দেশিকার ৩ নম্বর ধারার ৪ নম্বর উপধারায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে, চারজন বা এর চেয়ে কমসংখ্যক শিক্ষক আছেন এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও বদলি আবেদন করতে পারবেন। তবে তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের ধারা শিথিল করে বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুই শিফটের বিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে যে শিফটে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সেই শিফটের শিক্ষার্থী হিসাব করে ১: ৪০ অনুপাত নির্ধারণ করা হবে।

সংশোধিত বদলি নির্দেশিকায় কয়েকটি শর্তও সংশোধন করা হয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের শর্তও শিথিল করা হয়েছে, চাকরি লাভের আগে অথবা পরে বিবাহ হয়েছে এমন শিক্ষক স্বামী/স্ত্রী স্থায়ী ঠিকানায় বদলি হতে ইচ্ছুক হলে তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি করা যাবে। এ ক্ষেত্রে উপজেলার মোট পদের সর্বাধিক ১০ শতাংশের শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলার মধ্যে বদলির অনলাইন আবেদন শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, যা চলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরে সময় বাড়িয়ে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।

বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062680244445801