পরীক্ষায় ফেল করা ডাক্তাররা মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরির দাবিতে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তারা ভিসির কার্যালয়ের সামনে চাকরির দাবিতে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪ মাস তারা অযৌক্তিক দাবিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পর রহস্যজনক কারণে মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুরো বিষয় ভার্সিটির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে একটি মহল। শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার নানা চক্রান্ত করলেও তাদের তালিকা করে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ শিক্ষকরা। জাতির পিতার প্রতিষ্ঠানে অযোগ্য মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দিলে অসুস্থ রোগী চিকিৎসা কতটুকু হবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
ভার্সিটি সূত্রে জানা গেছে, মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা কিছুদিন আগে হয়ে গেছে। আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব পর্যায়ে অধিকাংশ ডাক্তার মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করেছে বলে জানা গেছে। তালিকায় তাদের নামও নেই। এরপর একটি মহলের ইন্ধনে তারা বার বার ভিসি প্রশাসনকে ঘেরাও করছে। ভাঙচুর করছে। নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। একের পর এক শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টির কারণে চিকিৎসা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে এর আগে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগযোগ করেছে। এরপরও তা থামছে না। আজ প্রশাসন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
ভার্সিটির মেডিকেল অফিসার নিয়ে বিশৃঙ্খলার খবর নানাভাবে ছড়ানো হচ্ছে। এর প্রভাবে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণাসহ উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আর্সলান জানান, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আজ দুপুর ২টার দিয়ে স্বাচিপের সভাপতি, মহাসচিব ও বিএমএ সভাপতি ও মহাসচিবকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তারা আজ ভার্সিটিতে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলবেন।